মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন
- আপলোড সময় : ২৫-০৩-২০২৫ ০১:৪৩:২৮ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৫-০৩-২০২৫ ০১:৪৩:২৮ পূর্বাহ্ন

মানুষ জীবন নির্বাহের জন্য উৎপাদন করে এবং এই উৎপাদনক্রিয়ার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়ে তার পেশা নির্ধারিত হয়। যারা কোনও উৎপাদন ক্রিয়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবেও যুক্ত নয় এমন কাজের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে নেয় তারা আসলে কোনও না কোনওভাবে অনৈতিক কোনও কাজের সঙ্গেই নিজেকে জড়ায়। নিজের মালিকানার বাইরের জমি থেকে মাটি আহরণ বা মাটি কেটে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন একটি স্বাভাবিক উৎপাদন বহির্ভূত কাজ এটা প্রকারান্তরে চুরি ভিন্ন অন্য কীছু নয়। শ্রমের উদ্বৃত্তাংশ চুরির আইনগত স্বীকৃতি আছে কিন্তু মাটি কেটে তা বিক্রি করে অর্থ উপার্জনের ব্যাপারটির কোনও আইনগত স্বীকৃতি নেই, এটা চুরি বা ডাকাতির সমান একটি অবৈধ ও অপরাধমূলক কাজ।
জেলার কোথাও কোথাও মাটি কাটার এমন অবৈধ কাজ চলছে। গত ক’দিন আগে গণমাধ্যেমে সংবাদ বেরিয়েছে ‘শান্তিগঞ্জে নদীর তীর কেটে মাটি বিক্রি : আটক ১, দুই লক্ষ টাকা জরিমানা’ তারও আগে তাহিরপুরে এমন মাটি কাটার সংবাদ পত্রিকায় ছাপা হয়েছে।
সংবাদপ্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “দায়িত্বশীলদের দায়িত্বহীনতায় গত এক মাস ধরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় মাটিয়ান ও শনি হাওর থেকে প্রশাসনের চোখের সামনেই এস্কভেটর দিয়ে দিন-রাত ফসলি জমি, হাওরের কান্দা (উচু জমি)এবং নদী থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছে মাটিকাটা সিন্ডিকেটের সদস্যরা। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই অনিয়মের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ না করায় মাটিকাটা সিন্ডিকেটের সদস্যরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে।”
অভিজ্ঞমহল মনে করেন এই ধরনের মাটি কাটার অবৈধ ব্যবসায় বন্ধ করার জন্যে ‘দায়িত্বশীল’ প্রশাসনের তৎপরতা বাড়ানো দরকার। তা না হলে অদূর ভবিষ্যতে এবংবিধ কাজের প্রতিক্রিয়ার ফলস্বরূপ প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতার ভয়াবহ পরিণতির শিকার হতে হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ